মাঠে ২০০৭ ফিরবে কি না, সেটা সময় বলবে। তবে মিডিয়ার, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়ার গুঞ্জনে ২০০৭ বিশ্বকাপের ফিরে আসাটা পরিষ্কার দৃশ্যমান।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদপত্র ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ গতকাল তাদের খেলার পাতায় বড় শিরোনাম দিয়ে খবর করেছে—বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কিত থাকবে ধোনির দল!
খবরের ভেতরে বাংলাদেশের দৈত্যবধের ইতিহাসগুলো, এই বিশ্বকাপে তাদের দারুণ আত্মবিশ্বাসী পদচারণার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এদের নিয়ে চিন্তাহীন থাকা ভারতের পক্ষে অন্তত সম্ভব নয়। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘গত ২৯ বছরে বাংলাদেশ অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছে তারা ২০০৭ সালে ভারতকে। সেই ধাক্কার ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে চায় এই দলটি।’
আরেকটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া’ বাংলাদেশের নির্ভয় ও নির্ভার মানসিকতা বোঝাতে একটি প্রতিবেদন করেছে শুধু বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ভাবভঙ্গি নিয়ে। মাশরাফির একটি কথা দিয়েই তারা বোঝাতে চেয়েছে, বাংলাদেশ দল কতোটা চিন্তামুক্ত আছে। সরাসরি বাংলায় তারা কথাটা ছেপে দিয়েছে, ‘টেনশন করবো কেন! আমরা রিল্যাক্স আছি।’
ভারতের অন্যতম বৃহত্তম পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’ খেলার পাতায় বড় বড় করে ছেপেছে—অতীত ইতিহাস থেকে গর্ব ফেরাতে চায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে করা এই প্রতিবেদনে তারা লিখেছে ক্রিকেটীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশ ভারতের ছায়ায় থাকলেও মাঠে এই দলটিই হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ।
এদিকে বাংলাদেশ দল কিভাবে এমন ভয়-ডরহীন হয়ে গেল, তা নিয়ে গবেষণা করেছে কলকাতার একটি দৈনিক—এই সময়। তারা দাবি করেছে, মনোবিদ ফিল জনসির কল্যাণেই এমন উদ্যমী ও নির্ভয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ দল।
আর কলকাতারই শীর্ষ বাংলা দৈনিক ‘আনন্দ বাজার’ বাংলাদেশ দলকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে তিনটি। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ২০০৭ সালে তাদের বধ করা দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের দুটি সাক্ষাত্কারও আছে।